Sunday, April 13, 2014

টুং সোনাদা ঘুম .....

কিছুদিন ধরেই আমরা তিনজন অনেক পরিকল্পনা করছিলাম একটা ছোট্ট ঘোরাঘুরির।  সুজিতের ছুটির সংখ্যা এত কম এদিকে মেয়ে ছুটিতে বসে আছে বাড়িতে।  অনেক ভেবে ছুটির হিসাব নিকাশ করে দেখা গেল দার্জিলিং ই ঘুরে আশা যাক। 
হোটেল বুকিং , ট্রেন এর বুকিং , এইসব সেরে তিনজনেই গালে হাত দিয়ে ভাবছিলাম - কবে যাব , কবে যাব। নানারকম ব্যস্ততার মধ্যেই এসে গেল রওনা হবার দিন। আবার দার্জিলিং মেল।  এবার শুধু আমরা তিনজন , রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে ট্রেন এ একটা লম্বা ঘুম লাগাতেই ভোরবেলা NJP station . ট্রেন একেবারে সময় মিলিয়ে পৌঁছে দিয়েছিল আমাদের।এদিক ওদিক একটু গাড়ির জন্যে খোঁজ করতেই একজন driver আর একটা গাড়ি জুটে গেল আমাদের।গাড়ি একটু এগোতেই চোখ জুড়িয়ে গেল মনোরম সবুজে। 


গাড়ি পাহাড়ি পথ ধরে আরো একটু এগিয়ে থামতেই ছোট্ট ঝুপড়ি চা এর দোকানে মোমোর আমন্ত্রণ , কিন্তু তিনজনেরি তখন কেবল চা এর মন।গাড়ি চেপে টুং সোনাদা ঘুম ছাড়াতেই পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং। এই শহর, মেঘ কুয়াশা আর বৃষ্টি মেখে স্বাগত জানালো আমাদের। 



প্রথমদিনেই মেঘ ভাঙা রাঙা আলোতে Kanchenjunga উঁকি দিয়ে দেখা দিল। 



এরপর সন্ধ্যে নেমে এলো পাহাড় জুড়ে। .....




চারদিনই আমাদের সঙ্গী রইলো হার কাঁপান ঠান্ডা আর বৃষ্টি ও মেঘ। একদিন ভোরে চোখ খুলেই হোটেলের জানলা দিয়ে দেখি ভোরের আলো মেখে দাঁড়িয়ে আছে সে। মুগ্ধ আমরা তিনজন হোটেলের লন এ বেরিয়ে আসতেই পূব আকাশে সূর্যের আগমন ঘটল। কোনদিকে দেখি তখন Kanchenjunga নাকি সূর্য ? আমরা যা দেখলাম তার ছবি দিয়ে গেলাম এখানে। 












দার্জিলিং চা , আর গ্লেনারী'স মন ভরিয়ে দিল আমাদের। সঙ্গে রইলো পাহাড়ি পথে হাঁটা হাঁটি, Toy Train এ ঘোরাঘুরি। Mall  চত্বর  জুড়ে ঘোরাঘুরি ....... আর চিড়িয়াখানা। ...

















ফেরার পথে ড্রাইভার এর ইচ্ছাতে মিরিক এর পথ দিয়ে ফিরে এলাম , প্রথমে পাইন বন পরে চা বাগানের মনোরম সবুজ চোখ জুড়িয়ে দিল।  মনেই ছিলনা ফিরে চলেছি আমরা , NJP স্টেশন এ এসে বুঝতে পারলাম এইবার ফিরতে হচ্ছে।